সিলেটের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী অঞ্চলগুলোর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও তাদের বিবরণ নিচে দেওয়া হলো—
১. গোয়াইনঘাট
গোয়াইনঘাট সিলেট জেলার একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকা। এখানে রয়েছে—
- জাফলং – মেঘালয় পাহাড়ের কোলঘেঁষে অবস্থিত এই স্থানটি নদী, পাথর ও চা বাগানের জন্য বিখ্যাত।
- সাংগুয়াইন নদী – বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত এই নদী জাফলংয়ের প্রধান আকর্ষণ।
- লালাখাল – নীল-সবুজ জলের নদী, যেখানে বোট রাইডিং অনেক জনপ্রিয়।
২. কোম্পানীগঞ্জ
- ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর – মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান, যেখানে সাদা পাথরের স্তূপ ও স্বচ্ছ পানির প্রবাহ দেখা যায়।
- ডিবির হাওর – জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ বিশাল জলাভূমি, যা বর্ষাকালে নয়নাভিরাম রূপ ধারণ করে।

৩. বিছানাকান্দি
সিলেট জেলার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট, যেখানে পাহাড় থেকে আসা ঝর্ণাধারার সঙ্গে পাথুরে নদীর অপূর্ব মিলন ঘটে।
৪. রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট
এটি বাংলাদেশের একমাত্র মিঠা পানির জলাবন, যা বর্ষাকালে পানির নিচে তলিয়ে যায়। এটি বিশ্বের বিরল সোয়াম্প ফরেস্টগুলোর মধ্যে একটি।
৫. হাওর এলাকা (বিশ্বনাথ, তাহিরপুর, ওসমানীনগর)
- টাঙ্গুয়ার হাওর – বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট, যা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও জলজ প্রাণীর অভয়াশ্রম।
- হাকালুকি হাওর – বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হাওর, যেখানে শীতকালে হাজারো পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে।
৬. সুনামগঞ্জ ও খাসিয়া পাহাড় অঞ্চল
- নিলাদ্রি লেক (শহীদ সিরাজ লেক) – মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে নীলাভ জলের লেক।
- জাদুকাটা নদী – স্বচ্ছ পানির এই নদী পাহাড়ি সৌন্দর্যের এক অনন্য নিদর্শন।
এছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে রয়েছে অসংখ্য চা বাগান, মাজার (যেমন- হজরত শাহ জালাল ও শাহ পরান মাজার), ঝর্ণা ও নদী। সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য একে পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে।